১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট (post 1-6)

 ১০ মিনিট রাইটিং পোষ্ট ১


আমরা সবাই সফলতা চাই। আর সেই সফলতা পাওয়ার জন্য আমাদের পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু আমরা তা অনেকেই করি আবার অনেকেই করিনা। আমরা যারা দিনশেষে পরিশ্রম করতে রাজি না কিন্তু সফলতা পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকি তাদের মত বোকা আর কেউ নয়।

সফল হতে হলে প্রথমে নিজেদেরকে সফলতার জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আর তার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম এবং অনুশীলন।

আমরা জানি প্র্যাকটিস ছাড়া কোন কিছুই হয় না।

যেমন,

আমি একটা অংক করতে পারছি না। কিন্তু বার বার প্র্যাকটিস করার পর আমরা এই অংকের একটা সমাধান পেয়ে যাব। কিন্তু প্রেক্টিস ব্যতীত সমাধান পাওয়ার আশা বোকামো।

সব কাজে সফলতার জন্য দরকার প্র্যাকটিস।


১০ মিনিট রাইটিং পোষ্ট ২

সার্চ দিয়ে পড়াশুনা করা!!

সার্চ দিয়ে পড়াশোনা করা বলতে আপনি কি বোঝেন?

সার্চ করা অর্থ হচ্ছে খোঁজা অর্থাৎ কোন কিছু খুঁজে বের করা।

আর গুগল সার্চ মানে হচ্ছে গুগলে কোন কিছু সার্চ করে বের করা।

মনে করেন আপনার মাথায় একটা আইডিয়া আসলো অথবা আপনার কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ হলো সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন কার কাছে জিজ্ঞেস করবেন ?সেগুলো নিয়ে আপনি হতাশ হয়ে পড়লেন ।আর দিন শেষে দেখা গেল আপনার সেই কাঙ্খিত জিনিসটি সম্পর্কে জানা হলো না। আর এদিকে আপনি আপনার আগ্রহ টা হারিয়ে ফেললেন।

আর আপনি যদি সার্চ দিয়ে পড়া সম্পর্কে বুঝতে পারেন তাহলে আপনার আর কারো দ্বারস্থ হতে হবে না এবং কাউকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করা লাগবেনা। আপনি নিজে থেকেই সকল কিছুর উত্তর পেয়ে যাবেন গুগল সার্চের মাধ্যমে।

মনে করেন আপনি কোন একটি জেলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে প্রথমে আপনি গুগল এ যাবেন সেখানে গিয়ে যে জেলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেই জেলার নাম লিখবেন ।আর সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি দেখতে পারবেন সে জেলা সম্পর্কে অনেকগুলো উত্তর আপনার সামনে চলে আসছে ।আর এটা হল গুগল সার্চ।

আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনার নেট কানেকশন থাকতে হবে। কারণ নেট কানেকশন ছাড়া গুগল মামা কাজ করবেনা।

দিন শেষে এটাই উপলব্ধি করতে পারলাম জ্ঞানের কোন শেষ নেই। জ্ঞান অর্জনের কোনও বয়স হয় না।

ধন্যবাদ সবাইকে

মাক্স পড়ুন, সুস্থ থাকুন।


১০ মিনিট রাইটিং পোষ্ট ৩

আমরা কেন ব্যর্থ হই?


আমরা যখন একটা কাজ শুরু করি, তখন আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজটা শুরু করি। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদেরকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সেটা আমরা জানি কিন্তু মানি না।

অনেক সময় দেখা যায় খুব সহজে আমরা একটা কাজ শুরু করলে শেষ করতে পারি। আবার অনেক সময় দেখা যায় একটা কাজ শুরু করেছে কিন্তু তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয় আর মাঝ পথে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে কাজটা ছেড়ে দেই।

সফল হতে হলে তিনটি বিষয়ে আমাদের মেনে চলতে হবে।

১. লক্ষ্য ।

২. অনুশীলন।

৩. আর সবশেষে হচ্ছে ধৈর্য।

লক্ষ্য:

কাজ শুরু করার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কারণ লক্ষ্য ছাড়া আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না। লক্ষ্যহীন জীবন মাঝিবিহীন নৌকার মত। অর্থাৎ যেকোন কাজে নামার আগে আমাদেরকে অবশ্যই লক্ষ্য ঠিক করে নামতে হবে যাতে আমি সেই কাজটা তে সফলতা অর্জন করতে পারি।


অনুশীলন:

অনুশীলন মানে হচ্ছে প্রাক্টিস। আমরা জানি প্রাক্টিস মাকেস এ মান পেরফেক্ট। প্র্যাকটিস ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা যখন একটা কিছু নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তখন তারা বারবার ব্যর্থ হয়। আর তারা প্রত্যেকটা ব্যর্থতার পরে নতুন একটা আইডিয়া সৃষ্টি করে যার মাধ্যমে তারা সফলতা ই পৌঁছতে পারে।

প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প হতে পারে না। যত বেশি প্রাকটিস করবেন তত বেশি আপনি আপনার কাজটাকে সহজ ভাবে নিতে পারবেন অর্থাৎ শেষ করতে পারবেন। প্র্যাকটিসে পারে একটা মানুষকে তার সফলতায় পৌঁছে দিতে।

মনে করেন আপনি একটি কাজ শুরু করলেন। সে কাজটা মনোযোগ সহকারে পাঁচদিন করলেন। পাঁচ দিন কাজটা করার পর আপনার কাছে মনে হল কাজটা কিছুটা কঠিন, অথবা আপনি যে কোন একটা অজুহাতে কাজটা ছেড়ে দিলেন। মনে করলেন আবার তিনদিন পর শুরু করব। কিন্তু তিনদিন পর কাজটা হাতে নিয়ে দেখলেন সে কাজটা আপনি যে পাঁচ দিন করেছিলেন অর্থাৎ 5 দিন করার পর আপনি যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিলেন এ কাজটা সম্পর্কে, ততটুকু আপনি ভুলে গিয়েছেন। তাহলে কি দাঁড়ালো ?প্রতিদিন প্র্যাকটিস করবেন একটু একটু করে। তাহলে দিনশেষে আপনার সফলতার ঝুড়িতে অনেক কিছুই জমা হবে।


ধৈর্য:

প্রত্যেকটা কাজেই আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হয়। ধৈর্য ধরে না থাকলে কোন কাজেই সফলতা সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে যদি আপনি আপনার কাজটা শেষ করতে পারেন তাহলে দিন শেষে সফলতার হাসিটুকু আপনি হাসবেন।

#DSB


#দশ_মিনিট_রাইটিং_পোষ্ট

#৪

রিডিং পড়ার উপকারিতা কি?


যেকোনো বিষয়ের রিডিং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের উচিত। রিডিং পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আলটিমেটলি আমাদের মধ্যে একটা পরিবর্তন চলে আসে। রিডিং পড়ার অভ্যাসটা তৈরি করতে হয় ধীরে ধীরে।

প্রথমে দশ পেজ, 50 পেজ 100 পেজ এভাবে 500 পেজ পড়াও সম্ভব। তাই আমাদের সবার উচিত রিডিং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। রিডিং পড়ার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি। রিডিং যেকোনো বিষয় দিয়ে শুরু করা যায় সেটা হোক অথবা নিউজপেপার অথবা কোন ওয়েবসাইট থেকে পড়া।

রাজিব আহমেদ স্যারের দেওয়া রিডিং সিলেবাস আজকে থেকে আমি শুরু করলাম। সবার রিডিং সিলেবাস এর কি অবস্থা?

______


#দশ_মিনিট_রাইটিং_পোষ্ট

#৫

আমি কতবার হেরে গেলাম সেটা বড় কথা নয় সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমি হেরে গিয়ে কতবার উঠে দাঁড়ালাম। হেরে যাওয়া থেকে আমি কি শিক্ষা নিলাম? জীবনে ব্যর্থ না হলে সফলতার সুখটা সঠিকভাবে অনুধাবন করা যায় না। সফলতা তখনই মধুর মনে হয় যখন আমি প্রত্যেকটা ব্যর্থতা থেকে সফলতার মুখ দেখতে পাই।

নিজেকে নিজে সাহায্য করতে হবে। অন্য কেউ আমাকে সাহায্য করতে আসবে না। আমি যদি আমার নিজেকে সাহায্য করতে না পারি তাহলে অন্য কেউ আমাকে সাহায্য করবে এটা ভাবাও বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

ব্যর্থতা বলে কিছুই হয়না, সবগুলো ব্যর্থতায় একেকটা শিক্ষা। যেখানে ব্যর্থতা নেই সেখানে শিক্ষা ও নেই।

_______


#দশ_মিনিট_রাইটিং_পোষ্ট

#৬

কথায় আছে মানুষ তার স্বপ্নের মতোই বড়। স্বপ্ন আমরা যে কেউ দেখতে পারি হোক সে ধনী অথবা গরিব। পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়ে আছেন তারা অবশ্যই সহজে সবকিছু অর্জন করতে পারেনি। প্রত্যেকটা চলার পথে বাধা বিঘ্ন থাকবে আর যারা এই বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে তাদের স্বপ্ন ই কেবল পূরণ হবে।

স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু সেটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নয়। জেগে থেকে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য কাজ করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম ব্যতীত কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। তার সাথে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে প্রত্যেকটা কাজে ই।

যেকোনো কাজে সাফল্য পেতে হলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিকতা বলতে বোঝায় একটা কাজ আমি প্রতিদিন অল্প অল্প করে হলেও প্র্যাকটিস করবো। এতে করে দিন শেষে আমার সফলতার ঝুড়িতে অনেক প্রাপ্তিই জমা হবে।

মনে করেন আপনারা দুই বন্ধু মিলে একটা বিজনেস শুরু করলেন। কিন্তু আপনার বন্ধুর সফলতা আর আপনার সফলতা কম। আপনার বন্ধু কাজ করে 14 ঘন্টা আর আপনি কাজ করেন 7 ঘন্টা। তাহলে কে বেশি এগিয়ে থাকবে? নিশ্চয়ই আপনার বন্ধু। সব সময় নিজেকে চেষ্টা করুন আপডেট রাখতে কারণ বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ হাতের মুঠোয় সবকিছু পাওয়া যায়।

আপনি অনায়াসে যে কোন জিনিস জানতে চান তাহলে গুগলের সার্চ করুন। গুগল মামা আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে দেবে। জাস্ট আপনি শুধু সময়টাকে কাজে লাগাবেন।

প্রত্যেকটা ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাটা ও একটা অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকটা ভুলকে একেকটা সিঁড়িতে দাঁড় করান। তারপর দেখেন প্রত্যেকটা ভুল থেকে আপনি কি কি শিক্ষা পেলেন। সে শিক্ষা গুলো কাজে লাগান।

কোন কাজই ছোট নয়। ছোট হচ্ছে আমাদের মন-মানসিকতা। মন মানসিকতা পাল্টাতে হবে। কথায় আছে নিজে ভালো তো জগৎ ভালো।

Related Tags:

#writtingpost

#১০মিনিটরাইটিংপোস্ট #Tina'sCreation #শাম্মী #shammi #shammiakter9

#DSB #digitalskillforbangladesh



Comments

  1. It's really helpful post..i have gather lots of information

    ReplyDelete
    Replies
    1. Thanks a million. Please stay with my blog 💗💗

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ফেসবুক প্রোফাইল পেজ এর নাম পরিবর্তন যেভাবে করবেন

হাকালুকি হাওরের সৌন্দর্য